,

পাক-ভারত যুদ্ধে প্রাণ যাবে ১২ কোটি লোকের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে সব মিলিয়ে দুটি দেশের অন্তত পাঁচ থেকে সাড়ে ১২ কোটি লোকের প্রাণহানি ঘটবে। শুধু তাই নয়, এই যুদ্ধ বিশ্ব জলবায়ুতে আমূলে পরিবর্তন বয়ে আনবে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, সম্প্রতি ‘দ্য মিউনিখ সিকিউরিটি রিপোর্ট ২০২০’ দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। মূলত ওই গবেষণায় ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর সেখানেই বলা হয়, পাক-ভারত মধ্যকার যুদ্ধে অঞ্চলটির ১২ কোটি ৫০ লাখ লোকের মৃত্যু ঘটবে।

এ দিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন পর্যন্ত ওই গবেষণা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অবশ্য সেই প্রতিবেদনে সাড়ে ১২ কোটির জায়গায় ১০ কোটি লোকের প্রাণহানি ঘটবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়, কাশ্মীর ইস্যুতে একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। যার ধারাবাহিকতায় দেশ দুটি ২০২৫ সালের মধ্যে ৪০০ থেকে ৫০০টি পরমাণু অস্ত্র তৈরি ও মজুদ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তখন পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জমির ওপর সবুজায়ন ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমে যাবে এবং সমুদ্রের উৎপাদনও ৫ থেকে ১৫ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা গবেষকদের।

সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলছেন, ভারত-পাকিস্তানের পরমাণু যুদ্ধের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ১০ বছর সময় লেগে যাবে। গবেষণা পরিচালনাকারীদের অন্যতম সদস্য অ্যালান রোবক বলেন, এখন বিশ্বের ৯টি দেশের কাছে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র সম্ভার বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি।

সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা অনেক বেড়েছে। ফলে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন অনেকে। তবে গবেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে পরমাণু যুদ্ধের তাৎপর্য বোঝাটা খুবই জরুরি।

তাদের দাবি, পরমাণু যুদ্ধ হলে সরাসরি সাড়ে ১২ কোটি লোকের প্রাণহানি ঘটবে। তাছাড়া বিশ্বজুড়ে অনাহারে মৃত্যু হবে আরও অনেক মানুষের। যার প্রভাব অঞ্চলটির বাকি প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যেও দেখা দেবে।

এই বিভাগের আরও খবর